Search

করোনায় শেয়ারবাজারঃ বিনিয়োগকারীরা কী করবেন

‘৯৬ সালে আমি যা করেছিলাম’

করোনায় শেয়ারবাজারঃ বিনিয়োগকারীরা কী করবেন? বিনিয়োগ কোন শেয়ারে?

বিশ্বজুড়ে এখন করোনাভাইরাস আতঙ্ক।বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। এই আতঙ্কের প্রভাব পড়েছে দেশ-বিদেশের শেয়ারবাজারে। এমন পরিস্থিতিতে আমার দীর্ঘদিনের বিনিয়োগের অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি সকল বিনিয়োগকারী,যারা ইনস্টিটিউশন এবং  বিনিয়োগকারীদের পক্ষে পোর্টফোলিও ম্যানেজ করেন,মিউচুয়াল ফান্ড ম্যানেজের দায়িত্বে থাকা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির কর্মকর্তাদের জন্য। নিজের বাস্তব অভিজ্ঞার আলোকে  বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু সুপারিশ তুলে ধরছি।আশা করি এই লেখাটি বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিলে উপকৃত হতে পারেন।


পুঁজিবাজারে কখন এবং কেন বিনিয়োগ করবো?

সাধারণত সকল সফল বিনিয়োগকারীর হিস্ট্রি একইরকম। এদের মধ্যে সবচেয়ে সফল হিসেবে সারাবিশ্বে যাকে সমীহ করা হয়,সেই ওয়ারেন বাফেট শেয়ারবাজারের বিনিয়োগ থেকেই আজ বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ সম্পদশালী ব্যক্তি হয়েছেন।কিন্ত কিভাবে? তিনি নিজে বলেছেন,যখন পুঁজিবাজারে ধস নামে,যখন বিনিয়োগকারী হতাশ হয়ে শেয়ার বিক্রি করে দেয়,তখন তিনি ভালো ভালো ফান্ডামেন্টালের শেয়ার অত্যন্ত কম দামে কিনে নেন এবং তা দীর্ঘদিন ধরে রাখেন।

পুঁজিবাজারের ধর্মই হলো,যে কোনো ভালো শেয়ার যদি কোনো বিনিয়োগকারী সঠিক সময়ে কিনে দীর্ঘদিন ধরে রাখতে পারেন কয়েক বছরের মধ্যে বিপুল মুনাফার সুযোগ আসে।

করোনার কারণে শেয়ারবাজারে যে ধস নেমেছে,অতীতের মত সেখান থেকেও বাজার ঘুরে দাঁড়াবে। কোনো এক সময়ে বাজার অনেক চাঙ্গা হবে। তাই বাজারের বর্তমান পরিস্থিতিতে ঘাবড়ে যাওয়া উচিত নয়,বরং এ সময়ে যাচাইবাছাই করে ভাল মৌলের সম্ভাবনাময় শেয়ার কিনলে এক সময় মুনাফা আসবেই।

আমার আভিজ্ঞতা

এখন আমি আমার একটি বিনিয়োগ অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।

১৯৯৬ সালে শেয়ারের দাম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি হচ্ছিলো। আমি  একটি শেয়ারের কথা বলি, যা আমার কাছে ছিল। সেই কোম্পানির নাম ছিল চিটাগাং সিমেন্ট ক্লিংকার গ্র্যান্ডিং ফ্যাক্টরি (বর্তমান নাম হাইডেলবার্গ সিমেন্ট বাংলাদেশ লিমিটেড)।শেয়ারটি আমার কেনার গড় মূল্য ছিল ১২০০ টাকা। এই শেয়ারটি কিনার সময় সাউথইস্ট ব্যাংক থেকে প্রায় ৩ কোটি টাকা লোন নিয়েছিলাম। অনান্য ব্যাংক থেকেও আমি বিভিন্ন শেয়ার কিনার জন্য লোন নিয়েছিলাম। সে সময় চিটাগাং সিমেন্টের শেয়ারের দাম উঠেছিল সর্বোচ্চ ১৪০০০ টাকা। এরই মধ্যে এই শেয়ারটির দাম যখন ১১,৫০০ টাকা করে চলছিলো তখন ইচ্ছা করলেই শেয়ার পাওয়া যেতো না, আমাদের একজন মেম্বার তখন ১১,৫০০ টাকা দরে কিছু শেয়ার কিনেছিলো, আমি তার থেকে অনেক অনুরোধ করে এই দামে ৫০০ শেয়ার নিয়ে ছিলাম৷ওই সময় আমাদের একজন মেম্বারের নাম বলতে হয়, তার নাম হলো শাহ মোহাম্মদ সগীর, তিনি আমাদের মাঝে নাই, এই নামটি এই জন্যই আনলাম, তখন বাজারে একটি কথা প্রচলন ছিল শাহ মোহাম্মদ সগীর যেই শেয়ার ধরবে সেটাই বাড়বে। অবশ্যই শাহ মোহাম্মদ সগীরের কথায় আমিও কিছু শেয়ার কিনেছিলাম।

Leave a Comment